আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


তালায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পনের হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার তালা উপজেলাতেও তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে গোটা উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা, কৃষি জমি,সবজি ক্ষেত, আম বাগানসহ গবাদীপশুর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার ৩শত লোক ৯টি সাইক্লোন সেল্টার এবং ১০৩ টি স্কুল ও কলেজ মিলে ১১৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নেয়। অত্র উপজেলায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৬০টি, কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০৪ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০০ হেক্টর জমির। ৮ কিঃমিঃ কাঁচা সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অর্ধশত গরু-ছাগল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ তান্ডবে ছোটখাটো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা উপজেলা। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বে-সরকারী সংস্থা উত্তরণ ও উন্নয়ন প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছগুলোর প্রায় ৮০ ভাগ অপসারণ করা হয়েছে। তবে বৈদ্যূতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় গ্রামাঞ্চালে এখনও বিদ্যুৎ লাইন চালু হয়নি। এছাড়া অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে বলে জানান তারা।


তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন জানান, ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিরোধে দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২৫ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। যা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবকালে সাধারণ মানুষ ও গৃহপালিত পশু উদ্ধারে করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ গ্রাম পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি’র সদস্য, এনজিও এবং করোনা প্রতিরোধের জন্য গঠিত ৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, তালার কপোতাক্ষ নদ প্রকল্পে পাখিমারা বিলের টিআরএম প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ৭ টি স্থান ভেঙ্গে গেছে। দ্রুত এগুলো সংস্কার করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন।


Top